যাই হোক আপনি যদি ব্লজ্ঞিং করতে চান তাও আবার বাংলা ব্লগিং আর আপনি যদি অ্যাডসেন্স সম্পর্কে একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ুন আপনার অনেক উপর হবে অ্যাডসেন্স পেতে। আসলে অ্যাডসেন্স নিয়ে আমি কয়েক বছর কাজ করছি এবং এখুন পর্যন্ত বেশি না ৩ টা অ্যাডসেন্স Approved করিয়েছি আমার সেই অভিজ্ঞতা থেকেই নিচের বিষয় গুল তুলে ধরলাম।
গুগল অ্যাডসেন্স আবেদন করার আগে যেসকল বিষয় গুল লক্ষ রাখবেন
আমি নিচে যে বিষয় গুল বলেছি তা সব নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কোন ইংরেজি ব্লগ থেকে কপি বা অন্য কোন ব্লগারের অভিজ্ঞতা থেকে না, আমি যেভাবে অ্যাডসেন্স পেয়েছি সেই গুল আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি।
অ্যাডসেন্স আবেদন করার পূর্ব চেক করে নিন আমি নিচে যা যা বলেছি তা আপনার ব্লগে আছে কিনা বা আমার বলার সঙ্গে মিচ্ছে কিনা। যদি মিলে তাহলে আপনি নির্দ্বিধাই আবেদন করে দিতে পারেন।
১। ব্লগের বয়স কত হওয়া উচিৎঃ
এই বিষয় টা প্রথমে তুল ধরার একটি বিশেষ কারন হল আমি যত গুল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেছি তার সব কটি ব্লগের বয়স ছিল ৫-৬ মাস+। তাই আমি এটা বলবনা যে আপনার ব্লগ বয়স ৫-৬ মাস হতে হবে এটা আমার অভিজ্ঞতা বললাম, তবে ব্লগের বয়স যদি একটু বেশি হয় তাহলে ভাল হয়, তবে ব্লগের মান, পোস্টের মান, যদি ভাল হয় তাহলে এর কম সময় হলেও সমস্যা নেই। তবে যদি প্রথম বারেই অ্যাডসেন্স পেতে চান তাহলে ব্লগে সময় দিয়ে কিছু ভাল পোস্ট করে, কিছু ভাল ভিজিটর হবার পর আবেদন করুন এতে অ্যাডসেন্স ৯৯% পাবার চান্স থাকে।
২। ব্লগে পোস্ট এর সংখ্যা কত থাকলে অ্যাডসেন্স এর ক্ষেত্রে ভাল ঃ
অনেকেই মনে করে অ্যাডসেন্স এর জন্য ৩০, ৪০, ৫০, ৬০, ইত্যাদি পোস্ট থাকা চাই কিন্তু এটা আমি বিশ্বাস করিনা, আমি আগেই বলেছি এই পোস্টে সম্পূর্ণ আমার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আপনি যদি ভাল মানের ১০-১৫ পোস্ট করেন এবং আপনার ব্লগের বয়স যদি একটু পুরনো হয় তাহলে আপনি এই পরিমান পোস্ট দিয়ে অ্যাডসেন্স পেতে পারেন। উদাহারান স্বরূপ এই স্ক্রীন শর্ট টি দেখুন এখুন ব্লগে পোস্ট ২০ টি আছে কিন্তু আমি অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেছিলাম ১৫ পোস্টে এবং Approved ও পেয়েছি । তবে আমি বলব আপনি ভাল মানের বেশ কিছু পোস্ট লিখুন তারপর আবেদন করুন এতে disapproved হবার চান্স অনেকটা কমে যাই।
৩। ব্লগে ভিজিটর কত থাকলে অ্যাডসেন্স এর ক্ষেত্রে ভাল
আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা আমি শেষ যে অ্যাডসেন্স Approved পাই সেই ব্লগে পোস্ট মাত্র ১৫ টি আর পেজ ভিউ প্রতিদিন ছিল ১০ এরও কম লাইফটাইম ২০০০ মত। তবে অনেকেই বলে ব্লগে মিনিমাম ১০০০ ভিজিটর থাকলে তবেই অ্যাডসেন্স পাবেন, কিন্তু আমার সঙ্গে ২ বার এমন হয়নি কম ভিজিটর দিয়েই আমি পেয়ে গেছি, তবে আপনি চেস্ট করুন ভাল কিছু ভিজিটর আনতে তারপর অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন। কারন ভাল ভিজিটর না থাকলে অ্যাডসেন্স পেয়েও তো লাভ নেই কারন ইনকাম হবেনা তাই মোটামোটি ভিজিটর বাড়ানোর চেস্টা করুন তারপর আবেদন করুন।
৪। ব্লগকে অবশ্যই Webmastertools এ সাবমিট করুন
আপনি যদি গুগল থেকে ভিজিটর পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই webmastertools এ ব্লগ সাবমিট করতে হবে, আর যদি না করেন তাহলে আপনার অ্যাডসেন্স পাবার আশাও অনেকটা কমে যাবে। তাই এই বিষয় টি ভাল ভাবে লক্ষ রাখেবেন আপনার ব্লগ webmastertools এ সাবমিট আছে কিনা।
৫। ব্লগ পোস্টে কত ওয়ার্ড এর পোস্ট থাকলে অ্যাডসেন্স পেতে সুবিদা
দেখুন এটা কোন কথাই না, ধরুন আপনি একটি পোস্ট লিখছেন যেটাতে ওয়ার্ড এর প্রয়োজন ৩০০ কিন্তু আপনি ফালতু ১০০০-২০০০ লিখতে যাবেন কেন! তবে হ্যা বেশি ওয়ার্ড এর পোস্ট থাকলে ভাল গুগল ভাল চোখে দেখে থাকে, তবে আমার অভিজ্ঞতার সঙ্গে এই ওয়ার্ড এর সঙ্গে অ্যাডসেন্স এর সম্পর্ক খুজে পাচ্ছিনা। তবে আপনি চেষ্টা করবেন একটু ভাল মানের পোস্ট লিখতে যাতে ভিজিটর আপনার পোস্ট পড়ে আনান্দ পাই। তবে পোস্ট ওয়ার্ড এর সাথে অ্যাডসেন্স এর কোন সম্পর্কে আছে বলে আমার মনে হয়না, শুধু কিছু ভাল মানের পোস্ট লিখুন এখুন ভাল মানের পোস্ট বলতে কি বুঝাতে চাইছি বুঝেতেই পারছেন 😉।
৬। ব্লগ ডিজাইন কতটা গুরুত্ব পূর্ণ অ্যাডসেন্স এর ক্ষেত্রে
আমি অনেক ব্লগারকে দেখেছি অ্যাডসেন্স নিয়ে পোস্ট লিখেছে এবং সেখানে এই ডিজাইন এর বিষয় টিকে সিরিয়াস ভাবে তুলে ধরেছে, কিন্তু আমি এখুন পর্যন্ত এমন কিছু ব্লগে অ্যাডসেন্স দেখছি যাদের ব্লগ ডিজাইন সব থেকে নিম্ন মানের। তবে চেস্টা করুন একটু ডিজাইন টা সাদা মাটা রাখতে। ফ্রী থিম ব্যবহার করুন আর পেইড কোন সমস্যা নেই, আমার মনে হয় এই ডিজাইন এর বিষয় টা নিজের কাছে অহেতুক ব্লগ ভারি করবেন না ইউজার ফ্রেন্ডলি করবেন তাহলেই চিন্তা নেই 👍।
৭। ব্লগার না ওয়ার্ডপ্রেস অ্যাডসেন্স এর জন্য কোনটা ভাল হবে
আমি এখুন পর্যন্ত ৩ টি অ্যাডসেন্স Approved পেয়েছি যার মধ্যে ২ টি ব্লগার প্লাটফর্ম দিয়ে বানান ব্লগ আর একটি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে 😊। তবে ব্লগার যেহেতু গুগলের আর অ্যাডসেন্সও গুগলের তাই একটু হাল্কা সুবিধা পেতে পারেন তবে আমি সেরকম পার্থক্য লক্ষ করিনি, সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা বললাম। অ্যাডসেন্স পেতে প্লাটফর্ম নয় কন্টেন্ট টাই মূল বিষয় তাই সেই দিকটাই বেশি জোর দিন।
৮। কি ধরনের ডোমেইন ব্যবহার করা উচিৎ
আপনি আপনার ব্লগে যেকোনো টপ লেবেল ডোমেইন ব্যবহার করতে পারেন যেমন .com, .in. .net, .org ইত্যাদি তবে ভুলেও ফ্রী ডোমেইন দিয়ে আবেদন করেন না যদিও আমি পরীক্ষা করিনি তবে ফ্রী ডোমেইন দিয়ে না পাবার চান্স ৯৯%, ফ্রী ডোমেইন বলতে আমি .TK, .ML এই সব ফালতু ডোমেইন গুলর কথা বলতে চাইছি। যখুন ব্লগে অ্যাডসেন্স ব্যবহার করবেন অর্থ উপার্জন করবেন তখুন একটু নিজের পকেট থেকে অর্থ ব্যয় করুন না মশাই 😉। আর হ্যা সাবডোমেইন দিয়েও আমি চেস্টা করিনি, তবে শেষ কথা একটা টপ লেবেল ডোমেইন দিয়েই অ্যাডসেন্স আবেদন করুন।
আপনারা বাবছেন তাইলে আমি (ডোমেইন) না নিয়ে ব্লগার চালাই কেন? আমি এই ব্লগার টি যাত্রা শুরু করছি এবং ভিজিটর এর জন্য পোস্ট টি করা।
যাই হোক যদি মনে হয় এই পোস্ট থেকে আপনার উপকার হয়েছে এবং আপনি এই সব স্টেপ অনুসরণ করে আপনার অ্যাডসেন্স পেতে সফল হয়েছেন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি কে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, আজকের মত এই পর্যন্ত ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।
No comments:
Post a Comment
Thanks For Comment........